অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই তথ্য জানান। নিচে তার পোস্টটি তুলে ধরা হলো-
ইতোমধ্যেই জুয়ার সাথে জড়িত প্রায় ১০০০+ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আপনার জানামতে কোনো জুয়ার অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে থাকলে সেগুলো দ্রুত রিপোর্ট করুন।সাইবার স্পেসে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ। সরকার সাইবার স্পেসে জনস্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২০ ধারা অনুসারে জুয়া খেলা এবং জুয়া খেলার সাথে জড়িত সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। এই আইন অনুসারে সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার জন্য কোন পোর্টাল/অ্যাপস/ডিভাইস তৈরি/পরিচালনা করা, জুয়া খেলা, খেলায় সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপনের সাথে জড়িত থাকাকে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।২১ এবং ২২ ধারা অনুযায়ী জুয়া খেলার জন্য কোন ফাইনানশিয়াল ট্রানজেকশন, জুয়া খেলা বিষয়ে কোন প্রতারণা বা জালিয়াতি করাকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জুয়া খেলা নিয়ে উৎসাহ প্রদান বা বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার কারণে বাংলাদেশের কোন নাগরিকের জুয়া খেলা নিয়ে কোন বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কোন নাগরিক বা মিডিয়া ব্যক্তিত্ব যদি মনে করেন তার অনুমতি ব্যতিরেকে জুয়া খেলার ওয়েবসাইট/পোর্টালে তার ছবি/ভিডিও ব্যবহৃত হচ্ছে তাকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।এই আইন প্রণয়নের পূর্বে যারা জুয়া খেলার সাথে বা জুয়া খেলার বিজ্ঞাপনের সাথে স্বেচ্ছায় জড়িত ছিলেন তাদেরকে অবিলম্বে এই কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। যারা পূর্বে জুয়ার কারণে প্রতারণার শিকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য আইনের ৩০ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা এবং ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগণকে সাইবার স্পেসে জুয়া খেলা এবং জুয়া খেলা সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার এবং এই অপরাধের সাথে যুক্ত ব্যক্তি/কোম্পানির ব্যাপারে তথ্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জানানোর জন্য অনুরোধ করছে।