
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার (২৫ মে) বিকেলে মহেশপুরের ভৈরবা বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি সোজানুর রহমান তার অনুসারীদের নিয়ে ভৈরবা বাজারে একটি মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় সেখানে হাজির হয় বিএনপির অপর একটি গ্রুপ, যাদের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় দুই পক্ষের হাতে লাঠিসোঁটাও দেখা যায়।সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষ একে অপরকে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।
এ বিষয়ে সোজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমি একটি শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু বিএনপির অপর একটি গ্রুপ অতর্কিত হামলা চালায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
ঘটনার বিষয়ে জানতে মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. দবির উদ্দিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।মহেশপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং যৌথ বাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জেনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল বেড়ে যাওয়ায় দফায় দফায় এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
Leave a Reply